খালেদার জামিন পরবর্তী শুনানি আগামী রবিবার

কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের এক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৭ জুন) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানির শুরুতে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, ‘এ বিষয়ে সিনিয়র বেঞ্চ একটি অর্ডার দিয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।’ তখন খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘তাহলে আপনারা এই মামলাটিও সেভাবে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিতে পারেন।’ তখন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যেহেতু জ্যেষ্ঠ বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি আদেশ দিয়েছেন, আমরা সংবাদপত্রেও দেখেছি। তাই আমরা মামলার মেরিটে না গিয়ে সেভাবে আদেশ দিই।’

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা আদেশটি দেখি নাই। তাহলে শুনানি রবিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।’ তখন আদালত মামলাটি রবিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।ওইদিনই পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, রবিবার আাদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সেই আবেদন নামঞ্জুর করে ৮ আগস্ট পরবর্তী দিন ঠিক করেন। বিচারিক আদালতের ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে গত ৫ জুন হাইকোর্টে এই জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের দণ্ড নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে বন্দি রয়েছেন।